নেটওয়ার্ক টপােলজি (Network Topology)

একটি নেটওয়ার্কের টপ বা উপর থেকে দেখলে নেটওয়ার্কটি যেমন দেখা যায় তাই হলাে উপােলজি। উপর থেকে তাকালে দেখা যাবে নেটওয়ার্কে কম্পিউটারসমূহ কীভাবে সংযুক্ত আছে, ক্যাবল কীভাবে একটি আরেকটির সাথে যুক্ত হয়েছে। নেটওয়ার্কে কম্পিউটারসমূহ একটি আরেকটির সাথে সংযুক্ত থাকার পদ্ধতিকে বলা হয় টপােলজি। নেটওয়ার্ক ডিজাইনের ক্ষেত্রে এই টপােলজি বিশেষ ভূমিকা রাখে। কোন কাজের জন্য নেটওয়ার্ক ব্যবহার করব তার ওপর ভিত্তি করে উপযুক্ত টপােলজি বাছাই করা দরকার। প্রতিটি টপোলজির কিছু সুবিধা ও অসুবিধা আছে। এসব বিষয়ে বিবেচনা করেই উপযুক্ত টপােলজি  নির্বাচন করার প্রয়োজন পড়ে।
 

ফিজিক্যাল বনাম লজিক্যাল টপােলজি (Physical and logical topology)

নেটওয়ার্কে ফিজিক্যাল টপােলজি বলতে বােঝায় বিভিন্ন নেটওয়ার্ক ডিভাইস ও মিডিয়ার লেআউট বা পরস্পর সংযােগ পদ্ধতিকে। এই মিডিয়ায় ডাটা প্যাকেট কীভাবে পরিবাহিত হয় তা বােঝানাে হয় লজিক্যাল টপােলজির মাধ্যমে।
প্রথমে আপনার মনে হতে পারে ফিজিক্যাল টপােলজি দেখলেই তাে লজিক্যাল টপােলজি বােঝা যায়। তাহলে দুটিকে ভিন্ন করার দরকার কী? আসলে ব্যাপারটি এত সহজ নয়। ফিজিক্যাল টপােলজি দেখে লজিক্যাল টপােলজি সবসময় বােঝা যায় না। যেমন ধরা যাক আপনি দেখছেন পাঁচটি কম্পিউটার থেকে ক্যাবল বেরিয়ে একটি অয়্যারিং ক্লোজেটে যােগ হয়েছে। এটি দেখে আপনি হয়তাে ধরে নিতে পারেন এটি লজিক্যাল স্টার টপােলজি। কিন্তু এটি নির্ভর করছে ক্লোজেটে কোন ডিভাইস ব্যবহার করা হয়েছে, হাব (hub) নাকি মাউ (MAU) – তার উপর। এখানে যদি MAU ব্যবহৃত হয় তাহলে সেটি হবে লজিক্যাল বাস অথবা রিং টপােলজি, আর যদি হাব (hub) ব্যবহৃত হয় তাহলে হবে লজিক্যাল স্টার টপােলজি। 

অন্যদিকে লজিক্যাল ও ফিজিক্যাল এই দুই টপােলজি একটি আরেকটির উপর নির্ভরশীল । নেটওয়ার্কের কার্যপ্রণালী ভালভাবে বােঝার জন্য উভয় ধরনের টপােলজি বােঝা দরকার। ক্যাবল টানা, বিভিন্ন ডিভাইস সংযােগ ইত্যাদির ওপর নির্ভর করে ফিজিক্যাল এবং লজিক্যাল উভয় ধরনের টপােলজি।

পরবর্তী আলোচনায় বিভিন্ন ফিজিক্যাল টপােলজি, সেগুলির বৈশিষ্ট্য, সুবিধা-অসুবিধা এবং বাস্তবায়নের উপায় সম্পর্কে। এরপর আলােচনা করব বিভিন্ন লজিক্যাল টপােলজি ও তাদের কার্যপ্রণালী সম্পর্কে। 






Previous Post Next Post