Router || Networking Router || রাউটার 

এক নেটওয়ার্ক থেকে আরেক নেটওয়ার্কে ডাটা পাঠানাের পদ্ধতিকে বলা হয় রাউটিং (Routing)। আর রাউটিঙের জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস হলাে রাউটার (Router)। এটি OSI রেফারেন্স মডেলের নেটওয়ার্ক লেয়ারে কাজ করে। কয়েকটি ভিন্ন নেটওয়ার্ককে যুক্ত করার জন্য এ ডিভাইস ব্যবহার করা হয়। এটি লােকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক, মেট্রোপলিটান এরিয়া নেটওয়ার্ক ও ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক এনভায়রনমেন্টে কাজ করে। এটি ব্যবহার করা হলে আপনি আপনার নেটওয়ার্ক ও আপনার নেটওয়ার্কের বাইরের রিসাের্সের সাথে সংযােগ গড়তে পারবেন। নেটওয়ার্কের বাইরের কোনাে নেটওয়ার্কের সাথে সংযােগ গড়ার জন্য এটি উন্মুক্ত সংক্ষিপ্ততম পথ (Open Shortest Path) প্রথম ব্যবহার করে। এই ডিভাইসটি অন্য নেটওয়ার্কের সাবে সংযােগ গড়ার জন্য নেটওয়ার্ক এড্রেস (TCP/IP ব্যবহার করা হলে এটি হবে IP এড্রেস) ব্যবহার সংক্ষিপ্ততম পথটি বেছে নেয়।

Router || Networking Router || রাউটার
Router

ভিন্ন ধরনের টপােলজির নেটওয়ার্ককে যুক্ত করার জন্য রাউটার ব্যবহৃত হতে পারে। যেমন ধরা যাক ইথারনেট ও টোকেন রিং নেটওয়ার্ককে আমরা যুক্ত করতে পারি রাউটার ব্যবহার করে। এক্ষেত্রে দুই নেটওয়ার্কের ভিন্নধর্মী ফ্রেম ফরম্যাটকে পরিবর্তনের কাজ রাউটারই করে থাকে। তবে কোন কোন ডাটা প্যাকেটকে রাউটারের মধ্য দিয়ে পাঠানাে যাবে তা নির্ভর করে ব্যবহৃত প্রটোকলের উপর। সব প্রটোকল রাউটেবল নয়। যেসব প্রটোকলের ক্ষেত্রে রাউটিং সম্ভব সেগুলিকে বলা হয় রাউটেড প্রটোকল (Routed Protocol)। এরকম কিছু প্রটোকল হলাে TCP/IP, IPX/SPX, AppleTalk, DECNet, ইত্যাদি। মাইক্রোসফটের তৈরি সহজ একটি প্রটোকল NetBEUI রাউটেবল নয়।

রাউটার হতে পারে ভিন্ন কোনাে ডিভাইস অথবা কোনাে কম্পিউটারও রাউটার হিসেবে কাজ করতে পারে। সিসকো সিস্টেমসের প্রস্ততকৃত বিভিন্ন মডেলের রাউটার ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এসব রাউটারের সাথে বিভিন্ন নেটওয়ার্ককে যুক্ত করার জন্য কয়েকটি ইন্টারফেস থাকে। সেইসাথে এটিকে কনফিগার করার জন্য থাকে একটি টার্মিনাল। সিসকো রাউটার কনফিগার করার জন্য এর সাথে থাকে সিসকো ইন্টারনেটওয়ার্ক অপারেটিং সিস্টেম (IOS)।

রাউটারের দুটি প্রধান কাজ হলাে: কোন পথ দিয়ে আরেকটি নেটওয়ার্কে পৌঁছা যাবে তা নির্ধারণ এবং আবিষ্কৃত সেই পথের তথ্য অন্য রাউটারকে জানিয়ে দেয়া।

কোন পথ দিয়ে অন্য নেটওয়ার্কে ডাটা পাঠানাে হবে তা নির্ধারণের জন্য রাউটার দু'ধরনের রাউটিং পদ্ধতি ব্যবহার করে: (i) স্ট্যাটিক রাউটিং ও (ii) ডাইনামিক রাউটিং।

যে রাউটিং পদ্ধতিই ব্যবহার করুক না কেন এটি আবিষ্কৃত বিভিন্ন পথের তথ্য জমা রাখে রাউটিং টেবিলে। এই সারণির তথ্য অন্যদের সাথে শেয়ারও করতে পারে। যখনই অন্য কোনাে নেটওয়ার্কে ডাটা পাঠানাের দরকার হয় তখন রাউটার দেখে নেয় সে নেটওয়ার্কে পৌঁছার জন্য রাউটিং টেবিলে কোনাে পথ উল্লেখ করা আছে কি না। রাউটিং টেবিলে হয়তাে কয়েকটি পথ পেতে পারে। এর মধ্যে কোনটি সে বেছে নেবে তা নির্ধারিত হয় বেশ কয়েকটি নিয়ামকের উপর। সাধারণত প্রতিটি পথের জন্য একটি করে আপেক্ষিক মান দেয়া হয় যাকে বলা হয় কস্ট (Cost)। কোন ধরনের রাউটিং প্রটোকল ব্যবহৃত হচ্ছে তার উপর নির্ভর করে নির্ধারণ করা হয় এই কস্ট। যে পথের কস্ট সবচেয়ে কম রাউটার সেই পথই ব্যবহার করবে ডাটা প্যাকেট পাঠানাের জন্য।

Post a Comment

Previous Post Next Post