মেশ টপােলজিতে প্রতিটি কম্পিউটার প্রতিটির সাথে যুক্ত থাকে। এতে অনেক সংযােগ তৈরি করতে করতে হয়। এখানে সংযােগের সংখ্যা বেশি হওয়ায় বড় ধরনের নেটওয়ার্কে মেশ টপােলজি ম্যানেজ করা প্রায় অসাধ্য হয়ে পড়ে। তাই দেখা যায় বেশিরভাগ মেশ টপােলজিতেই সত্যিকার মেশ ব্যবহার না করে হাইব্রিড মেশ ব্যবহার করা হয়।

মেশ টপােলজি ইনস্টল ও ম্যানেজ করা কঠিন। নেটওয়ার্ক ডিভাইস বাড়ার সাথে সাথে এটির সংখ্যা বাড়তে থাকে। যেমন একটি নেটওয়ার্কে যদি ৫ টি ডিভাইস থাকে এবং সেগুলিকে মেশ টপােলজির অধীনে আনতে চান তাহলে সংযােগ তৈরি করতে হবে ১৫টি (৫+৪+৩+২+১)। তেমনি ডিভাইসের সংখ্যা ১০টি হলে সংযােগের সংখ্যা হবে ৫৫টি (১০+৯+৮+৭+৬+৫+৪+৩+২+১)। এভাবে ডিভাইস বাড়ার সাথে সাথে সংযােগও বাড়বে।

মেশ টপােলজির বড় সুবিধা হলাে এটি ফল্ট টলারেন্ট অর্থাৎ এতে কোনো একটি সংযােগ অকেজো হলে নেটওয়ার্ক অকেজো হওয়ার সম্ভাবনা নেই। প্রতিটি ডিভাইস প্রতিটির সাথে সবসময় সংযােগ রক্ষা করতে পারবে এ টপােলজিতে। তবে অসুবিধা হলাে এটি ম্যানেজ করা এবং রিকনফিগার করা। এটি অনেক ব্যয়বহুলও বটে।

হাইব্রিড টপােলজি 
বিভিন্ন টপােলজির একাধিক টপােলজি নিয়ে গড়ে ওঠে হাইব্রিড টপােলজি। এতে একইসাথে কোনাে অংশে স্টার কোনাে অংশে বাস কিংবা রিং টপােলজি ব্যবহৃত হতে পারে। একে প্রধান দুইভাগে ভাগ করা যেতে পারে

স্টার বাস
এই টপােলজিতে বাস এবং স্টার উভয় টপােলজির সমন্বয় ঘটানাে হয়। এখানে কয়েকটি স্টার টপােলজির হাবকে এক বাসে সংযুক্ত করা হয়। এতে যদি কোনাে কম্পিউটার বিকল হয় তাহলে শুধু সেই কম্পিউটার নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়। আর যদি কোনাে হাব বিকল হয় তাহলে সেই হাবের সাথে যুক্ত কম্পিউটারসমূহ নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে এবং এতে বাস নেটওয়ার্ক দুটি অংশে বিভক্ত হয়ে পড়তে পারে।
স্টার রিং 
এ টপােলজিতে স্টার, টপােলজির মতাে করেই নেটওয়ার্ক ক্যাবল যুক্ত থাকে কিন্তু হাবগুলি যুক্ত থাকে রিং আকারে। টোকেন রিং নেটওয়ার্ক এধরনের স্টার রিং নেটওয়ার্ক। এটি দেখতে যদিও স্টারের মতাে কিন্তু কাজ স্টার রিঙের।


Post a Comment

أحدث أقدم