Repeater || রিপিটার 

আমরা জানি বিভিন্ন মিডিয়ায় সিগন্যাল ট্রান্সমিশনের সময় এটেনুয়েশনের কারণে সেই সিগন্যাল ক্রমশ দুর্বল হতে থাকে। নির্দিষ্ট দুরত্ত অতিক্রম করার পর এটির অস্তিত্ত্বই লােপ পায়। অস্তিত্ত্ব লোপ পাওয়ার আগেই সিগন্যালকে এমপ্লিফাই বা আরাে বলবান করে তুলতে পারলে সেটি অনেক দূর আতক্রম করতে পারে। যেমন 10Base2  নেটওয়ার্কে থিন কোএক্সিয়াল ক্যাবলের একটি বাসের দৈর্ঘ্য হতে পারে ১৮৫ মিটার। এখন কোন নেটওয়ার্কে এর চেয়ে বেশি দৈর্ঘ্যের বাস ব্যবহার করলে সিগন্যাল ট্রান্সমিট হবে না। এধনের সিগন্যালকে এমিপ্লফাই করার জন্য ব্যবহৃত হয় রিপিটার (repeater)। ১৮৫ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করার আগেই একটি রিপিটার ব্যবহার করে সেই সিগন্যালকে সিগন্যালকে এমপ্লিফাই করে দিলে সেটি অতিক্রম করতে পারবে। এটি কাজ করে OSI রেফারেন্স মডেলের ফিজিক্যাল লেয়ারে।

রিপিটার সাধারণত  দু'ধরনের হয়ে থাকে-  1. এমপ্লিফায়ার এবং 2. সিগন্যাল রিজেনারেটিং। 

এমপ্লিফায়ার পুরাে সিগন্যালকেই এমিপ্লফাই করে। এই সিগন্যালের মাঝে নয়েজ বা অপ্রয়ােজনীয় সিগন্যাল থাকলে সেটিও এমপ্লিফাই করবে এমিপ্লফাই রিপিটার। ধানক্ষেতে সার দিলেন, ধানের গাছও বাড়লাে আগাছাও বাড়লাে সমানতালে, এমনটিই ঘটে এমপ্লিফায়ার রিপিটারের ক্ষেত্রে। আপনি চাচ্ছেন আগাছা বাদ যাক কেবল ফসল বেড়ে উঠুক, এরকম ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারেন সিগন্যাল রিজেনারেটিং রিপিটার। এটি সিগন্যালকে গ্রহণ করার পর  সেটিকে পূনর্গঠন করে এবং এখান থেকে নয়েজ বা অপ্রয়ােজনীয় সিগন্যাল বাদ দেয়। এর ফলে নেটওয়াকে পারফরম্যান্স ভালাে হয়।

Repeater || রিপিটার | What is Repeater

Repeater

একটি নেটওয়ার্কে কয়টি রিপিটার ব্যবহার করা যাবে সে সম্পর্কে একটি বিশেষ নিয়ম আছে যাকে বলাহয় ৫- ৪- ৩ নিয়ম। এই নিয়মানুসারে একটি নেটওয়ার্কে (৫) পাঁচটি সেগমেন্ট (৪) চারটি রিপিটারের মাধ্যমে যুক্ত থাকতে পারে যেখানে মাত্র (৩) তিনটি সেগমেন্ট পপুলেটেড বা নােড বিশিষ্ট হতে পারবে। 

  




Post a Comment

Previous Post Next Post