Honors Admission Govt. College VS Private College | অনার্স ভর্তির যোগ্যতা সরকারি কলেজ এবং বেসরকারি কলেজ।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে অনার্স ১ম বর্ষে ভর্তির আবেদন আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত চলবে। প্রায় সকল শিক্ষার্থীদের সরকারি কলেজে ভর্তির আকাঙ্খা থাকে। এর মধ্যে অনেক ছাত্র-ছাত্রীই সরকারি কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য আবেদন করে; কিন্তু পরবর্তীতে দেখা যায় যে, এর মধ্যে অনেক শিক্ষার্থী সরকারী কলেজের পিছনে দৌড়াতে দৌড়াতে সরকারি কলেজ তো দুরের কথা বেসরকারি কলেজেও ভর্তি হওয়ার সুযোগ হারিয়ে ফেলে।
এর মূল কারণ কী?
এর মূল কারণ হলো জিপিএ; যে সকল শিক্ষার্থীর এসএসসি এবং এইচএসসি উভয় পরীক্ষার জিপিএ সাধারণত ৮.৫০ বা ৯.০০ এর কম তারাও সরকারি কলেজেগুলোতে অধ্যয়নের জন্য আবেদন করে থাকে। তাদের সরকারি কলেজে আবেদন করার যোগ্যতা আছে ঠিকই কিন্তু সরকারি কলেজে সাবজেক্ট পাওয়ার যোগ্যতা নেই।
একটু বুঝিয়ে বলছি- ধরুন সরকারি কোন কলেজে ১০ টি সাবজেক্টে মোট ৪,০০০ আসন রয়েছে। এর মধ্যে আবেদন হয়েছে ৭,০০০ এরও বেশি। কিন্তু এই ৭,০০০ আবেদনের মধ্যে ৫,০০০ শিক্ষার্থীরই জিপিএ আছে ৯.০০ এর উপরে। এখন আপনি চিন্তা করুন আপনার জিপিএ যদি ৮.৫০ বা ৯.০০ এর নিচে হয় তাহলে কি আপনি সরকারি কলেজের কোন সাবজেক্টে ভর্তির সুযোগ পাবেন?
জিপিএ কম থাকার কারণে সরকারি কলেজের কোনো সাবজেক্টেই আপনি ভর্তির সুযোগ পাবেন না।
আশাকরি আমি বুঝাতে পেরেছি।
বেসরকারি কলেজে কোন সাবজেক্ট না পাওয়ার কারণ-
সরকারি কলেজে আবেদনের কারণে আপনি বেসরকারি কলেজে রিলিজ স্লিপের মাধ্যমে আবেদন করেও কোন সাবজেক্টে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন না।
এর কারণ কি?
এর কারণও জিপিএ; ধরুন আবেদনকৃত শিক্ষার্থীদের মধ্যে যাদের জিপিএ ৯.০০ এর উপরে সে সকল আবেদনকারী সরকারি কলেজে সাবজেক্ট পেয়েছে। কিন্তু অবশিষ্ট আবেদনকারি যাদের জিপিএ ৯.০০ এর কম সে সকল আবেদনকারী সরকারি কলেজগুলোতে কোন সাবজেক্টেই ভর্তির সুযোগ পায়নি।
প্রাথমিক আবেদনে ভর্তির সুযোগ পাওয়া শিক্ষার্থীদের ভর্তি হওয়ার পর কিছু আসন খালি থকার কারণে যখন রিলিজ স্লিপের আবেদন শুরু হয় তখন ভর্তির সুযোগ না পাওয়া আবেদনকারীগণ পুনরায় রিলিজ স্লিপের মাধ্যমে সরকারি বেসরকারি কলেজ আবেদন করে থাকে। রিলিজ স্লিপের আবেনের সময় সরকারি কলেজে আসনের সংখ্যা খুবই কম থাকে এবং বেসরকারি কলেজে আসন সংখ্যা তুলনামুলক অনেক বেশি থাকে।
প্রাথমিক আবেদনের সময় যদি কোন আবেদনকারী আবেদনের ন্যূনতম জিপিএ নিয়ে বেসরকারি কোন কলেজে আবেদন করে। সেক্ষেত্রে তার চাহিদা অনুযায়ী যে কোন বিষয়/সাবজেক্টেই ভর্তির সুযোগ থাকে ৯৫% বা তারও বেশি। কিন্ত যখন রিলিজ স্লিপের মাধ্যমে আবেদন শুরু হয় তখন আবেদনকারীর (যাদের জিপিএ ৮.০০ এর কম) চাহিদা অনুযায়ী বিষয়/সাবজেক্ট পাওয়র সুযোগ থাকে ৩০% থেকে ৩৫%।
আশাকরি সরকারী কলেজে আবেদন করেও কোনো সাবজেক্টে চাঞ্চ না পাওয়ার মূল কারণ বুঝতে পারছেন।
বি:দ্র: বিশেষ করে যে সকল আবেদনকারীর জিপিএ কম তাদের জন্য অনুরোধ থাকবে যে তারা যেন বেসরকারি কলেজে আবেদন করে। কারণ যদি সরকারি কলেজের পিছনে দৌড়াতে গিয়ে বেসরকারি কলেজেও ভর্তি হতে না পারে; তাহলে তাঁর জীবন থেকে এক বছর হারিয়ে গেল। তাই সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। অর্থাৎ শিক্ষার্থীদের তাঁদের জিপিএ অনুযায়ী কলেজ নির্ধারণ করােই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
ঢাকা মহানগরীর অন্যতম প্রাণকেন্দ্র উত্তরা মডেল টাউনে অবস্থিত- উত্তরা টাউন কলেজ। বর্তমানে এ কলেজে উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতক পর্যায়ে প্রায় ৪,৫০০ শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে।
ঠিকানা: প্লট- ০১, রোড- ০২, সেক্টর- ০৬ , (হাউজ বিল্ডিং) উত্তরা, ঢাকা- ১২৩০
অনার্সের বিষয়সমূহ:
গণিত, ইংরেজি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সমাজকর্ম, অর্থনীতি, মার্কেটিং, ফিন্যান্স, হিসাববিজ্ঞান এবং ব্যবস্থাপনা বিভাগ।
إرسال تعليق