Network Layer OSI Model | নেটওয়ার্ক লেয়ার OSI মডেল
নেটওয়ার্ক লেয়ারের কাজ হলো এড্রেসিং ও প্যাকেট ডেলিভারি। এ স্তরে ডাটা প্যাকেটকে বলা হয় ডাটাগ্রাম (datagram)। ডাটাগ্রামে যোগ হয় কোন নেটওয়ার্কে সেই প্যাকেট যাবে। নেটওয়ার্ক লেয়ারে যে এড্রেস ব্যবহৃত হয় তাকে বলে নেটওয়ার্ক এড্রেস। এটি একটি লজিক্যাল এড্রেস এবং ডিভাইসের হার্ডওয়্যার কিংবা ভৌগলিক অবস্থানের উপর নির্ভরশীল নয়।
- ডাটা প্যাকেটে নেটওয়ার্ক এড্রেস যোগ করে এনক্যাপসুলেশনের মাধ্যমে।
- নেটওয়ার্ক এড্রেসকে ডিভাইসের ফিজিক্যাল এড্রেসের সাথে ম্যাপ করে। প্রতিটি নেটওয়ার্ক এডাপ্টারের থাকে একটি বিল্ট- ইন নম্বর বা এড্রেস, যাকে বলা হয় হার্ডঅয়্যার এড্রেস বা মিডিয়া একসেস কন্ট্রোল (MAC)। নেটওয়ার্ক এড্রেসের জন্য সেই ডিভাইসের হার্ডওয়্যার এড্রেস কী তা লিপিবদ্ধ করা এই লেয়ারের কাজ।
- নেটওয়ার্ক এড্রেস যদি বর্তমান নেটওয়ার্ক এড্রেসের চেয়ে ভিন্ন হয় তাহলে সেই নেটওয়ার্কে পৌঁছার জন্য একটি উপযোগী পথ বেছে নেয়া এই লেয়ারের কাজ। এটি করা হয়ে থাকে বিভিন্ন প্রটোকলের সাহায্যে, এবং এক নেটওয়ার্ক থেকে আরেক নেটওয়ার্কে ডাটা প্যাকেট পাঠানোর প্রক্রিয়াকে বলা হয় রাউটিং (routing)।
যখন একটি ডাটা প্যাকেট নেটওয়ার্ক লেয়ারে আসে তখন উৎস এবং গন্তব্যের নেটওয়ার্ক এড্রেস সেই ডাটা প্যাকেটে যোগ করা হয় এনক্যাপসুলেশনের মাধ্যমে। উভয় এড্রেসই লজিক্যাল এড্রেস। ডাটাগ্রামে প্রথমে উৎস ডিভাইসের নেটওয়ার্ক এড্রেস যোগ করা হয়। তারপর যোগ করা হয় গন্তব্য কম্পিউটারের নেটওয়ার্ক এড্রেস। এ দুই এড্রেস না থাকলে ডাটাগ্রাম গন্তব্য কম্পিউটারে পৌঁছাবে না। গন্তব্য কম্পিউটার আপনার লোকাল নেটওয়ার্কে থাকতে পারে অথবা দূরবর্তী কোনো নেটওয়ার্কে থাকতে পারে।
গন্তব্য কম্পিউটার যদি দূরবর্তী কোনো নেটওয়ার্কে থাকে তাহলে ডাটা প্যাকেটকে ওই নেটওয়ার্কে পৌঁছে দেয়ার দায়িত্বও নেটওয়ার্ক লেয়ারের। এক নেটওয়ার্ক থেকে আরেক নেটওয়ার্কে ডাটা প্যাকেট পৌঁছানোর পদ্ধতিকে বলা হয় রাউটিং (routing)। এর জন্য অবশ্যই ডাটা প্যাকেটে সেই গন্তব্য নেটওয়ার্কের নেটওয়ার্ক এড্রেস থাকতে হবে। এক নেটওয়ার্ক থেকে অন্য নেটওয়ার্কে ডাটা প্যাকেটকে পৌঁছানোর জন্য নেটওয়ার্ক লেয়ার প্রথমে সেই নেটওয়ার্কে পৌঁছানোর একটি পথ খুঁজে বের করে এবং সে অনুসারে ডাটা প্যাকেটকে সুইচ করে।
কোন পথ বেছে নেয়া হবে তা নির্ভর করে বিভিন্ন মেট্রিক বা নিয়ামকের উপর। নেটওয়ার্ক লেয়ার সবসময় সংক্ষিপ্ততম পথকে প্রাধান্য দেয়। আরও বেশ কিছু নিয়ামক এ ক্ষেত্রে কাজ করে, তবে সেসব নির্ভর করে কোন ধরনের রাউটিং প্রটোকল ব্যবহার করছেন তার উপর।
রাউটিং ফাংশন যে ডিভাইস দিয়ে থাকে তাকে বলা হয় রাউটার (router)। এটি কাজ করে নেটওয়ার্ক লেয়ারে। একাধিক নেটওয়ার্ককে যুক্ত করার জন্য এটি ব্যবহৃত হয়। এক নেটওয়ার্ক থেকে আরেক নেটওয়ার্কে ডাটা প্যাকেট পৌঁছাতে রাউটার ও অন্যান্য যেসব ডিভাইসের মধ্য দিয়ে যেতে হয় সেসব ডিভাইসকে বলা হয় ইন্টারমিডিয়েট সিস্টেমস। এসব ইন্টারমিডিয়েট সিস্টেম কেবল OSI মডেলের নেটওয়ার্ক লেয়ারে কাজ করে এবং অন্যান্য লেয়ার সম্পর্কে এদের কোনো ধারণা না থাকলেও চলে।
إرسال تعليق